বায়োইনফরমেটিক্স এ AI এর ব্যাবহার
Last updated
Last updated
বর্তমান সময়ে অনেকেই আছেন যারা সোশ্যাল মিডিয়া বা ইন্টারনেটের কারণে মেশিন লার্নিং, ডিপ লার্নিং, ডাটা সায়েন্স, বিগ ডাটা - ইত্যাদি "শুনতে ভালো লাগে" এরকম শব্দ প্রতিনয়ত শুনেছেন। এতো এতো বড়ো কনসেপ্ট এর ভিতরে আমজনতা এবং নন টেকনিক্যাল পার্সন হিসেবে আমার ডাটা নিয়ে কাজ করার শুরুর বিস্তারিত আমি জানিয়েছি ডাটা নিয়ে কথা এই ই -বুকটিতে।
চ্যাট জিপিটি বা জেমিনির মতো জেনেরেটিভ AI এর যুগে যখন আমরা প্রবেশ করেছি তখন পুরোনো ধারায় শিখবো কেন ? বিভিন্ন ক্ষেত্রে যখন ai এর প্রয়োগ হচ্ছে এবং সামনে আরো বাড়বে তাই আপনি যদি আগে থেকেই নিজেকে যে কোনো একটি ai টুলকে আপনার প্রতিদিনের জীবনের সঙ্গী করে নেন, সেটি আপনাকে কোনো না কোনো দিক দিয়ে এগিয়ে রাখবেই।
একটি ছোট ঘটনা বলি। নোভো নরডিস্ক ফাউন্ডেশন সেন্টার ফর প্রোটিন রিসার্চের একজন প্রফেসর এর নাম লার্স জেনসেন। ইউনিভার্সিটি অফ কোপেনহেগেনের প্রফেসরডক্টর জেনসেন বায়োইনফর্ম্যাটিক্স এর উপরে পিএইচডি পান ২০০২ সালে টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ ডেন্মার্ক্ থেকে non-homology based protein function prediction এর উপরে তার কাজ দেখিয়ে। ডক্টর জেনসেনের স্ট্রিং ডাটাবেস নিয়ে কাজটি বিজ্ঞানের গবেষণায় প্রোটিনের মধ্যেকার যোগাযোগ বিশ্লেষণের জন্য একটি মূল্যবান গবেষণা হিসেবে স্বীকৃত। যেহেতু উনার ডিসিপ্লিন আলাদা (যার বেশির ভাগ সময় ল্যাবেই গবেষণা করে কাটে, পাইথন শিখার সময় উনি কোথায় পাবেন ) উনি একজন নন টেকনিক্যাল, এখানেই উনার কাজকে সহজ করে দিয়েছি জুলিয়াস এর মতো একটি AI টুল। বিশেষ করে স্ট্রিং প্রোটিনের ডাটাবেস থেকে ভলকানো প্লট ক্রিয়েট করে সেটিকে ভিজুয়ালাইজ করা, জুলিয়াস এর মতো একটি AI টুল এটি অনেক সহজে করে দেখিয়েছে। ডক্টর জেনসেনের এই পুরো কাজটি ইউটিউবে দেখতে পারেন
AI টুল এর ব্যাবহার যে আরো কতটা ব্যাপক তার আরো একটি উদাহরণ দিচ্ছি শামীর মোন্তাজিদ এর অমরত্বের ইতিবৃত্ত বইয়ের পৃষ্ঠা নম্বর ৮১ থেকে নেওয়া একটি লেখায় :
"কেন কুমিরের ক্যান্সার হয় না ?
রহস্যময় এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন শারজাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী রোকেয়া সিদ্দিকী এবং নাভিদ আহমেদ। কুমিরের শরীর থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে তা তুলনা করলেন গবেষণাগারে বহুল ব্যবহৃত ইঁদুর ও মানুষের রক্তের সাথে। ম্যাস স্পেকট্রোমিটার ব্যবহার করে তারা এই প্রাণীগুলোর রক্তে বিদ্যমান প্রোটিন শনাক্ত করা শুরু করলেন। হাজার হাজার প্রোটিনের মাঝে তাদের উদ্দেশ্য এমন কিছু প্রোটিন বের করা, যা কুমিরের রক্তে বিদ্যমান কিন্তু অন্যান্য প্রাণীদের রক্তে নেই।
মানুষের সাধারণ চোখ দিয়ে এই কাজটা করা অতিদুষ্কর বলে তারা এই শনাক্তকরণের প্রক্রিয়াতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তা নিলেন। একটি 'মেশিন লার্নিং' প্রোগ্রামকে প্রথমে ক্যানসার প্রতিরোধে সক্ষম পূর্বপরিচিত কিছু প্রোটিনের গঠন শিখিয়ে দেওয়া হলো। প্রোগ্রামটি সেই প্রোটিনগুলোকে পর্যবেক্ষণ করে ক্যানসারবিরোধী বৈশিষ্ট্যগুলো শিখে নিল। তারপর প্রোগ্রামটিকে কুমিরের রক্তে প্রাপ্ত কয়েক'শ প্রোটিনের গঠন দেখতে দেওয়া হলো। এর ফলে মানুষের সাধারণ চোখ দিয়ে যা বের করা অত্যন্ত দুরূহ, সে কাজটিই করে ফেলল কম্পিউটার প্রোগ্রামটি। যাচাই-বাছাই করে সেটি কুমিরের রক্তে চারটি ক্ষুদ্র প্রোটিন বা পেপটাইড অণু শনাক্ত করল যারা ক্যানসার দমনে সক্ষম হতে পারে। জীববিজ্ঞানের গবেষণায় এরূপ কম্পিউটার প্রোগ্রামের ব্যবহারকে বলা হয় 'বায়োইনফর্ম্যাটিক্স'।"
আমার আগ্রহ এবং কাজের জায়গাটা যেহেতু ডাটা নিয়ে, তাই আমি জুলিয়াস কে ডাটা এনালিটিক্স টুল হিসেবে বেছে নিয়ে এর প্রয়োগগুলো দেখিয়ে এই গিটবুকটি লিখছি। আপনি যদি অন্য কোনো data analytics AI টুল খুঁজে পান যেটি আপনার মন মতো go for it
সিদ্ধান্ত আপনার !