জুলিয়াস থেকে পাওয়া উপহার
Last updated
Last updated
"তোমাকে জুলিয়াস থেকে sweatshirt পাঠাতে চাই। সানফ্রান্সিসকো থেকে বাংলাদেশে তোমাকেই প্রথম পাঠাচ্ছি তাই জানতে হবে ঠিক ঠাক ভাবে পার্সেলটা পাঠানো যাবে কি না। কালকের ভিতরে জেনে জানাবো।ইবুকটা দারুন। ইংলিশ এ লেখা এক কপি পাঠানো যাবে ? টিমের কেউ বাংলা পড়তে পারে না। "
রাহুল
CEO
এই ইমেলটি এক মাস আগের।প্রচন্ড কাজের চাপে স্ট্যটিস্ক্যাল টেস্ট এর দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে লেখাটি আগাতে পারছি না। এর মধ্যেই সকালে পোস্ট অফিস থেকে ফোন, জানতে পারলাম একটি পার্সেল এসেছে শুধুই আমেরিকা থেকে। একজন জিজ্জেস করলেন কে পার্সেলটি পাঠিয়েছে, কেন পাঠিয়েছে। উনাকে e-বুক- https://dataniyekotha.gitbook.io/ টি মোবাইলে দেখলাম। বললাম এই লেখার কারণেই পার্সেলটি গিফট হিসেবে পাঠানো হয়েছে। কি বুঝলেন কে জানে।
"আপনি লেখক"?"
এই আর কি ,টুক টাক লিখি"
"তাহলে আপনার সাথে একটা ভিডিও করি"
"করেন"
পোস্ট মাস্টার সাহেব, পার্সেলের প্যাকেটটা আমার হাতে ডেলিভারি করলেন। ভাবলাম সুযোগ বুঝে ট্যাক্স এর টাকাটা মৌকুফ করার জন্য বলি। বললাম ও। সরকারি রশিদ বের করে দিয়ে বললেন - "ভাই এটা সরকারি খাতের টাকা, আমার পকেটে যাবে না।"মৌকুফ করার কথা বলে, নিজেই লজ্জিত হয়ে গেলাম।
লেখার স্বীকৃতি হিসেবে জুলিয়াস থেকে পাঠানো এই সামান্য উপহার আমার কাছে অনেক বড়ো। কারণ আমি নিজের আগ্রহেই জুলিয়াস নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। একদম জিরো থেকে। আমি সবসময় মনে করি, ডেটা নিয়ে কাজের ক্ষেত্রে পাইথন এবং R প্রোগ্রামিং জগতে সবার উপরে থাকবে। কিন্তু যেই ছেলে বা মেয়েটি প্রোগ্রামিং ভীতির কারণে, কাজ শুরু-ই করতে পারলো না, নন-টেকনিকাল হিসেবে তার জন্য জুলিয়াস এর মতো AI টুলগুলো অসাধারণ। ভাবা যায় দেখতে দেখতে ৬টি কম্পিটিশন এ আমি পার্টিসিপেট করেছি এবং স্কোরিং মোটামুটি সব-ই আশেপাশে ।
জুলিয়াস এর CEO রাহুল কে কিছু চ্যাপ্টার ইংলিশে অনুবাদ করে দিয়েছি। সেই চাপ্টারগুলো গাইডলাইন হিসেবে পুরো পৃথিবীর সবাই পড়তে পারবে। পাশাপাশি আমার ইবুক https://dataniyekotha.gitbook.io/ তে লেখালেখি চলবে।জুলিয়াস e book টি লেখার পরে আমি প্রতিদিন ই চেষ্টা করেছি, যা যা শিখছি সেটি সবার সাথে শেয়ার করতে। এর মধ্যেই একটি গরূপে আমার একটি লেখা প্রায় ৮০ বারের মতো শেয়ার হয়েছে। এতো এতো মেসেজ পেয়েছি, সবাইকে ঠিক ঠাক মতো উত্তর না দিতে পারার কারণে দুঃখিত। জুলিয়াস নিয়ে স্টাটিস্টিকাল টেস্ট এর পরবর্তী পর্ব লিখছি। ডাটাসেট তৈরী করে, টেস্ট রান করে যেহেতু বুঝে বুঝে লিখতে হয় তাই, সময়টা বেশি লাগছে। যারা আমাকে প্রতিদিন ম্যসেজ দিচ্ছেন, আরেকটু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন।
অনেকেই আমার কাছে জানতে চায় , কি হবে লিখে, এর থেকে পাইথন এর একটা একটা চ্যাপ্টার ক্যাগলে শেষ করলে অনেক বেশি উপকার হবে, দ্বিমত পোষণ করছি না। আমি তো লিখি কারণ আমার ভালো লাগে লিখতে, আপনার যেটা করতে ভালো লাগে, করেন। সাথে একটা অনুরোধ-যদি সময় পান সেটি নিয়ে সহজভাবে দুই লাইন লিখেও ফেলবেন।আরেকটা কথা - আপনি ডাক্তার, ব্যাঙ্কার, ব্যাবসায়ী, শিক্ষক, লাইব্রেরিয়ান ,চাকুরীজীবি যাই হননা কেন, আমরা এমন একটি যুগে প্রবেশ করেছি, যেখানে ডাটা এবং কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার এর সামান্যতম জ্ঞান হলেও আপনার লাগবে।
আনন্দ এবং জ্ঞান শেয়ার করলে বাড়ে- কমে না।